Side income without a job:  চাকরি ছাড়াও আয়ের ১০টি বাস্তব উপায়

Spread the love

শুধুমাত্র চাকরি আয়ের উৎস নয়। এখন বর্তমানে আধুনিক যুগে ইনকাম করার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। যেখান থেকে প্রতি মাসে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাই চাকরি ছাড়াও আয়ের ১০টি বাস্তব উপায় কি কি রয়েছে তা নিয়ে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করবো। যারা ছাত্র ছাত্রী, বাড়ির গৃহিণী, অথবা আপনারা যারা Side income without a job শুরু করতে চান, এই ১০ টি ইনকাম করার উপায় দেখুন। যেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অনেকেই ভাবেন, চাকরিই একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু বাস্তবে দিনে দিনে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, ই-কমার্সসহ নানা ধরনের কাজ করে মানুষ বাড়তি টাকা উপার্জন করছে। ছোটখাটো শিক্ষার্থী থেকে গৃহিণী সবাই নিজের কাজ দিয়ে আয় করতে পারে। তাই ইচ্ছা এবং দক্ষতা থাকলে চাকরি না করেও আয় করা সম্ভব।

সম্পর্কিত পোস্ট পড়ুন

ঘরে বসে মেয়েদের জন্য ৭টি ইনকামের উপায় দেখুন

চাকরি ছাড়া আয়ের ১০টি প্রমাণিত উপায়

এবার আপনারা দেখে নিন, চাকরি ছাড়া আয়ের ১০টি প্রমাণিত উপায় বা Top 10 Side income without a job. নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

10 Ways to Make Money Without A Job

১) অনলাইন টিউশন ( Online Tution)

অনলাইন টিউশন হলো এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে বাড়িতে থেকে পড়াশোনা শিখিয়ে টাকা আয় করা যায়। ধরুন আপনি গণিত বা ইংরেজিতে পারদর্শী, তাহলে Zoom বা Google Meet এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া শুরু করতে পারেন। অনেক অভিভাবক বিকালের পর বা ছুটির দিনে পড়াশোনার জন্য অনলাইন টিউশন দিতেও উৎসাহী থাকেন। এবং এখন বর্তমানে Online tution খুবই জনপ্রিয় একটা ইনকামের উপায়। যেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান, ধৈর্য, ভালো যোগাযোগ দক্ষতা

কোথায় শুরু করবেন: ফেসবুক গ্রুপ বা ওয়েবসাইট যেমন Superprof, UrbanPro-এ প্রোফাইল তৈরি করে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

অফলাইন বিকল্প: আপনার এলাকায় ছোট পড়ুয়া বা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে পার্সোনাল টিউশন নিতে পারেন। এটি খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি।

২) কনটেন্ট রাইটিং ( Content writing)

কনটেন্ট রাইটিং বলতে ব্লগ, ওয়েবসাইট বা পণ্যের বিবরণী ইত্যাদি লেখালেখি করা বোঝায়। লিখতে পছন্দ করলে এটি আপনার জন্য খুব ভালো উপায় হতে পারে। ভারতের ডিজিটাল মার্কেটিং বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে Content writing এর চাহিদাও বেড়েছে। এটি আপনি অন্যান্য কাজের সাথেও ফ্রি টাইমে এই কাজটি করতে পারেন। প্রতি ব্লগ পোস্টের জন্য শুরুর দিকে কম টাকা চার্জ করবেন। পরে পরে যখন আপনার experience বেশি হবে এবং ওই বিষয় যখন আপনি expert হবেন তখন বেশি টাকা চার্জ করতে পারেন। যদি আপনি প্রতিমাসে মাত্র ৩০ টি Article পোস্ট লিখতে পারেন এবং প্রতি ব্লগ ৫০০ টাকা হয়, তাহলে ৩০*৫০০ অর্থাৎ ১৫০০০ প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: লেখার ক্ষমতা, বিষয় অনুসন্ধানের দক্ষতা, ভালো বাংলা বা ইংরেজি জ্ঞান

কোথায় শুরু করবেন: ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr অথবা বাংলা ব্লগিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ খুঁজতে পারেন। অথবা নিজের ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন।

অফলাইন বিকল্প: স্থানীয় পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে পোস্ট লিখে দিতে পারেন অথবা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর প্রিন্ট বা ডিজিটাল কনটেন্টে লেখা দিয়ে আয় করতে পারেন।

৩) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

এখন প্রায় সব ছোটখাটো ব্যবসায়ীরই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদিতে সক্রিয় থাকতে হয়। আপনি এরকম ব্যবসায়ীদের খুঁজে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে কাজের ক্ষেত্রে পোস্ট বানানো, ফলোয়ারদের কমেন্ট ম্যানেজ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ads চালানো অন্তর্ভুক্ত থাকে। এবার শুরুর দিকে আপনি আপনার এলাকার এইরকম ব্যবসায়ীদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: সৃজনশীলতা, ছবি-ভিডিও এডিটিং বেসিক (যেমন Canva), নিয়মিত পোস্ট দেওয়ার অভ্যাস

কোথায় শুরু করবেন: স্থানীয় ব্যবসায়ী বা পরিচিতদের মধ্যে যোগাযোগ করে পেজ ম্যানেজমেন্টের প্রস্তাব দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোর্টফোলিও করে প্রমাণ দেখালে ক্লায়েন্ট পাওয়া সহজ হয়।

অফলাইন বিকল্প: যদি গ্রাফিক্স ভাল করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় দোকান, স্কুল বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যানার-পোস্টার, ফ্লায়ার ডিজাইনের সার্ভিস দিতে পারেন।

৪) অনলাইন রিসেলিং

Online Reselling হচ্ছে কিছু পণ্য (পুরনো বা নতুন) কম দামে কিনে তা পরবর্তী সময়ে বেশি দামে বিক্রি করা। উদাহরণস্বরূপ, পুরনো স্মার্টফোন সংগ্রহ করে ঠিক করে ও সস্তায় OLX বা Quikr-এ বিক্রি করতে পারেন। এভাবে প্রতি মাসে ৫০০০-১০০০০ টাকা উপার্জন করা যায়। অন্যদিকে Meesho বা GlowRoad এর মতো প্ল্যাটফর্মে জয়েন করে ড্রপশিপিং করেও আয় শুরু করা যায়: আপনি পণ্য সংগ্রহ না করেই সরাসরি সাপ্লায়ার থেকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: বাজারের চাহিদা বোঝার ক্ষমতা, পণ্য সংগ্রহ ও পাঠানোর ব্যবস্থা করা

কোথায় শুরু করবেন: অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন অথবা Meesho, GlowRoad-এ রেজিস্ট্রেশন করে শুরু করতে পারেন।

অফলাইন বিকল্প: আপনার এলাকায় সাপ্লাইয়ার থেকে পণ্য কিনে স্থানীয় মার্কেটে বা মেলায় বিক্রি করতে পারেন।

৫) গ্রাফিক ডিজাইনিং

যারা ছবি-ডিজাইন পছন্দ করেন এবং কষ্ট করে ফটোশপ বা ক্যানভাতে কাজ করতে পারেন, গ্রাফিক ডিজাইনিং তাদের জন্য উপযুক্ত। লোগো, পোস্টার, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রাফিক্স ইত্যাদি ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্স পোর্টালে আয়ের সুযোগ আছে। এই Graphics design এর বাজারে High demand রয়েছে। তাই এই কাজটি আপনি শুরু করে প্রতি মাসে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: সৃজনশীলতা, ডিজাইনের বেসিক জ্ঞান, কম্পিউটার চালানোর দক্ষতা

কোথায় শুরু করবেন: Behance, Dribbble বা Freelancer-এ পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজ খুঁজতে পারেন। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের কাছে প্রস্তাব দিয়ে ডিজাইনের কাজ নিতে পারেন।

অফলাইন বিকল্প: স্থানীয় দোকান বা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যানার, বোর্ড, প্যামফ্লেট ডিজাইন করে প্রিন্ট আউট করিয়ে দিতে পারেন।

৬) ইউটিউব বা ব্লগিং

ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগের মাধ্যমে আপনি সরাসরি নিজের কন্টেন্ট দিয়ে আয় করতে পারেন। প্রথমে ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে সাবস্ক্রাইবার/রিডার বাড়াতে হবে, পরে Google AdSense, স্পন্সরশিপ বা অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে ইনকাম হতে পারে। এখন বর্তমানে YouTube channel খুলে প্রচুর মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: ধারাবাহিকতা, ভালো ভিডিও বা লেখার দক্ষতা, কিছু SEO জ্ঞান

কোথায় শুরু করবেন: YouTube-এ চ্যানেল খুলুন বা Blogger/WordPress-এ ব্লগ শুরু করুন। প্রথম ভিডিও বা ব্লগ পোস্ট শেয়ার করে অডিয়েন্স তৈরি করুন।

অফলাইন বিকল্প: লেখালেখি পছন্দ করলে স্থানীয় পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে নিয়মিত কলাম লিখতে পারেন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় আয় করতে পারেন।

৭) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing)

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি কোনও কোম্পানির পণ্য বা সেবার লিঙ্ক শেয়ার করে বিক্রয়ের একটা অংশ কমিশন হিসেবে পান। ধরুন আপনি আপনার ব্লগে রান্নার ব্লেন্ডার নিয়ে পোস্ট করেছেন এবং Amazon বা Flipkart অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করেছেন। কেউ যদি আপনার লিঙ্ক থেকে সেই ব্লেন্ডার কিনে, তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আপনার হবে। ভারতে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: মার্কেটিং জ্ঞান, নিজের অডিয়েন্সের প্রোফাইল বোঝার ক্ষমতা

কোথায় শুরু করবেন: Amazon Associate বা Flipkart Affiliate-তে সাইন আপ করুন। আপনার ব্লগ, ইউটিউব অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোডাক্ট লিঙ্ক শেয়ার করুন।

অফলাইন বিকল্প: অ্যাফিলিয়েট সাধারণত অনলাইন, তবে আপনি বন্ধু ও পরিচিতদের কাছে ব্যবহার করা ভালো পণ্য সুপারিশ করে এবং তাদেরকে লিঙ্কে পণ্য কিনতে উৎসাহিত করে কাজ করতে পারেন।

৮) ঘরে তৈরি খাবার বা হস্তশিল্প বিক্রি

যারা রান্না বা হস্তশিল্পে পারদর্শী, তারা ঘরে তৈরি পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যদি আপনি একজন গৃহিণী হয়ে থাকেন আপনি মিষ্টি ও আচার তৈরি করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করতে পারেন। আবার হস্তশিল্পী সিল্কের জামাপোশাক তৈরি করে স্থানীয় মেলায় বিক্রি করতে পারেন এবং মাসে প্রায় ₹৫০০০-১০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: সৃজনশীলতা, কাজে ব্যবহার্য উপকরণের যোগান, গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা

কোথায় শুরু করবেন: আপনার তৈরি খাবার বা হস্তশিল্পের ছবি তুলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা WhatsApp গ্রুপে প্রচার করুন। স্থানীয় হাট-বাজার বা কৃষ্টিমেলায় অংশগ্রহণ করুন।

অফলাইন বিকল্প: প্রতিবেশী বা পরিচিতদের মাধ্যমে সরাসরি বিক্রির উদ্যোগ নিতে পারেন, কিংবা স্কুল/অফিসগুলোর কার্নিভালে স্টল বসিয়ে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

৯) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (VA) হিসাবে অনলাইন এ নানা কাজ করা যায়, যেমন ইমেইল ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউল ইত্যাদি। আপনার এই স্কিল থাকলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা কাজ করে মাসে ₹৮০০০-১০০০০ উপার্জন করেন। VA হতে হলে টাইপিং ও কম্পিউটার দক্ষতা ছাড়াও যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হয়।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: টাইপিং, Microsoft Office বা Google Docs, ভালো ইংরেজি অথবা বাংলা লেখার দক্ষতা

কোথায় শুরু করবেন: Upwork বা Fiverr-এ নিজেকে VA হিসেবে প্রোফাইল করুন। ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি প্রস্তাব দিন।

অফলাইন বিকল্প: অনুরূপ কাজ নিয়ে স্থানীয় কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি নিযুক্ত হন, যারা প্রশাসনিক সহায়তা চান (যেমন সরকারী অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান)।

১০) অনলাইন সার্ভে ( Online Servey)

অনলাইন সার্ভে হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নগদ বা পুরস্কার পাওয়া। যেমন Google Opinion Rewards, Toluna, YouGov ইত্যাদিতে অংশ নিয়ে পয়েন্ট বা টাকা পাওয়া যায়।

প্রয়োজনীয় দক্ষতা: বিশেষ কিছু না, শুধু ধৈর্য আর ইন্টারনেট কানেকশন

কোথায় শুরু করবেন: Google Opinion Rewards, Toluna, YouGov-এ রেজিস্ট্রেশন করে নিজের প্রোফাইল আপডেট করুন। নিয়মিত সার্ভেতে অংশ নিন।

সতর্কতা: কখনোই সার্ভে করার জন্য টাকা দেবেন না এবং সন্দেহজনক সাইট এড়িয়ে চলুন। সতর্কতার সাথে কাজ নিন।

কীভাবে শুরু করবেন?

নিজের দক্ষতা খুঁজে বের করুন: প্রথমে ভাবুন আপনি কোন কাজে ভালো, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। আপনার খাতায়–কলমে থাকা শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা কী কাজে লাগাতে পারেন, সেটি চিন্তা করুন।

অনলাইন প্রোফাইল তৈরি করুন: Upwork, Freelancer বা Fiverr-এর মতো সাইটে প্রোফাইল খুলে নিজের কাজের নমুনা দিন। প্রয়োজনে লিংকডইন বা ফেসবুকে পোর্টফোলিও পেজ খুলে পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করুন।

ধৈর্য ধরুন: শুরুতে অনেক কাজ নাও মিলতে পারে, তা নিয়ে হতাশ হবেন না। নিয়মিত চেষ্টা এবং নিজের কাজের মান বাড়াতে থাকুন। একটু সময়ের মধ্যে ভালো রিভিউ ও ক্রিয়েটিভ কাজের সুবাদে আরও বড় কাজ পেতে পারবেন।

ছোট থেকে শুরু করুন: বড় লক্ষ্য একসাথে না নিয়ে প্রথমে ছোটখাটো কাজ সম্পন্ন করুন। ছোট কাজের গুণগত মান দিয়ে ইতিবাচক রিভিউ অর্জন করলে পরবর্তীতে বড় ক্লায়েন্টের বিশ্বাস পাবেন।

কিছু জরুরি সতর্কতা

স্টার্টআপ ফি বা প্রিমিয়াম স্কিম: যে কাজগুলো শুরুর আগে টাকা চায় অথবা প্রচুর আয় করার ছক দেখায়, সেগুলো থেকে সাবধান থাকুন। কোনো প্রকল্প শুরু করার আগে ভালো করে যাচাই করুন।

প্রাইভেসি ও পেমেন্ট: কাজ শুরুর আগে ঠিক করে নিন পেমেন্ট পদ্ধতি (ব্যাংক ট্রান্সফার, Paytm/Google Pay ইত্যাদি) এবং কাজের ডেলিভারি নিয়ম। পেমেন্ট আগে-অনেক পরে আলোচনা করে নিন।

রেফারেন্স চেক করুন: নতুন কোনো ক্লায়েন্ট বা প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়ার আগে অনলাইন রিভিউ দেখুন বা পরিচিতের সুপারিশ নিন। পরিচিতদের রেফারেন্স থাকলে ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

Desclaimer: অনলাইনে ইনকাম করার জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। এবং এই ধরনের ওয়েবসাইটে যাওয়ার আগে নিজের দায়িত্বে চেক করে নেবেন। নিজে স্কিল শিখুন, চাইলে আপনি ফ্রিতে ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন। এবং আপনার Expertise Sell করে ইনকাম করুন।

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

এই কাজগুলো শুরু করতে কি টাকা লাগে? সাধারণত বেশি টাকা লাগে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় আপনার সময় আর কিছু প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম (যেমন ভালো ইন্টারনেট সংযোগ, কম্পিউটার)। কিছু ক্ষেত্রে (যেমন হস্তশিল্প বা রান্নার জন্য) সামান্য উপকরণ কিনতে হতে পারে, তবে বড় বিনিয়োগ ছাড়া শুরু করা যায়।

মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?

এটা পুরোপুরি আপনার সময় ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যদি দিনে ২-৩ ঘণ্টা নিয়মিত কাজে দিতে পারেন, তাহলে কয়েক হাজার থেকে কিছু হাজার টাকা উপার্জন সম্ভব। অভিজ্ঞ হয়ে গেলে এবং কাজের পরিমাণ বাড়ালে মাসে ১০-২০ হাজার বা তারও বেশি আয়ের সম্ভাবনা থাকে।

টাকা কীভাবে হাতে পাওয়া যায়?

অধিকাংশ অনলাইন কাজের জন্য পেমেন্ট হয় ব্যাংক ট্রান্সফার, Paytm/Google Pay বা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে (যেমন PayPal)। কিছু ক্ষেত্রে নগদ পেমেন্ট বা চেকেরও ব্যবস্থা থাকতে পারে। অফলাইন পণ্য বিক্রিতে সাধারণত ক্যাশ বা UPI-এর মাধ্যমে আয় পাওয়া যায়।

উপসংহার

এক কথায়, চাকরি ছাড়া আয়ের পথও অনেক আছে। গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক উদ্যোগ নেওয়া এবং ধৈর্য ধরে কাজ করা। হয়তো প্রথম দিকে লক্ষ্য অনুযায়ী আয় হবে না, কিন্তু পরিশ্রম এবং ক্রমাগত শেখার মাধ্যমে আপনি সফল হবেনই। আজই আপনার কোনো একটি দক্ষতা বেছে নিয়ে ছোট্ট করে শুরু করুন। নতুন এই যাত্রায় নিজের মেধাকে কাজে লাগান এবং স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এগিয়ে চলুন। অবশ্যই একদিন সফল হবেন।

▪️ক্যারিয়ার সংক্রান্ত পোস্ট: এখানে পড়ুন

▪️Examrasta Homepage: Visit Here


Spread the love

Leave a Comment